২০১৬ তে স্থাপিত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ ।। মহাবিশ্ব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদানের উদ্দ্যেশে ১৯০০ বর্গ মাইল জুড়ে গড়ে উঠা এই টেলিস্কোপ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করতে ১ বিলিয়ন পিসির সমান সুপার কম্পিউটার থাকবে । যদিও কোথায় স্থাপিত হবে তা ঠিক হয়নি এখনো , তবে স্থান নির্বাচনে দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা অস্ট্রেলিয়া প্রাথমিক ভাবে প্রথমের দিকে রয়েছে ।।
১.৩ মিলিয়ন টেলিস্কোপের সমন্বয়ে গড়ে উঠা এই প্রজেক্টের নাম “স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে (এসকেএ)” যা এই মহা বিশ্ব সম্পর্কে নানা অমীমাংসিত বা অনুত্তরিত প্রশ্নের সমাধান দিবে । এই ব্যাপারে অ্যামস্টারডামে এসকেএ -এর সকল ডিরেক্টরদের নিয়ে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে SKA প্রজেক্ট মধ্যকালীন পরিচালক মাইকেল ভ্যান হ্যার্লিম বলেন, “এই প্রজেক্টের মাধ্যমে আমাদের এই মহাবিশ্ব ও মহাবিশ্বের ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বুঝা ও জানার উপর অনেক প্রভাব ফেলবে এবং আমরা জানি আমরা কিছু একটা আবিষ্কারের পথে এগুচ্ছি “এছাড়াও এসোসিয়েশন অব সায়েন্স এন্ড ডিসকভারি, ইউকে এর ড, ল্যান গ্রিফিন বলেন , SKA প্রজেক্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য চমৎকার একটি আবিষ্কার যা মহাবিশ্ব সম্পর্কে একটি বৈপ্লবিক জ্ঞানের জন্ম দিবে “
বিশাল এলাকা জুড়ে স্থাপিত এই টেলিস্কোপ গুলো নক্ষত্র , কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল ও সৌর জগতের বাইরের কোন জীবন সম্পর্কে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে পারবে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। ১৫ মিটার উঁচু স্যাটেলাইট গুলো মহাশূন্যে নির্গত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন সনাক্ত করতে পারবে এছাড়াও ৫০ আলোকবর্ষ দূর থেকেও পৃথিবীর এয়ারপোর্ট রাডারকে সনাক্ত করতে সক্ষম । এই স্যাটেলাইট কম ও মধ্যম ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে আকাশে একি সাথে একাধিক ভাগে ভাগ করেও বিশ্লেষণ করতে পারবে।স্যাটেলাইট গুলো প্রতি সেকেন্ডে কয়েক পেটাবিটস (১ পিটা-বিট = ১০০০ টেরাবাইট বা ১ কোয়াড্রিলিয়ন বিটস ) ডাটা তৈরি করতে সক্ষম হবে যা বর্তমান বিশ্বের ইন্টারনেট ট্র্যাফিক থেকে ১০০ গুন বেশি দ্রুত হবে এবং এই ডাটা গুলো প্রতি দিন ৬৪ গিগাবাইটের ১৫ মিলিয়ন আইপডে রাখা যাবে ।। এই প্রজেক্টের ব্যবহৃত অপটিকাল ফাইবার দিয়ে পুর পৃথিবীকে ২ বার মোড়ানো যাবে এবং এর নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত সুপার কম্পিউটার কোন কিছু বিশ্লেষণ করতে প্রতি সেকেন্ডে ১ বিলিয়ন ট্রিলিয়ন অপারেশন করতে পারবে যা বর্তমান সুপার কম্পিউটার থেকে ১০০০ গুন দ্রুত ।
এসকেএ ডিজাইন ও স্থাপন করতে ২০টি দেশে ৬৭ টি প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন করবে । আগামী ২০১৬ থেকে কাজ শুরু হবে এবং ৮ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী । বর্তমানে ক্যাট-৭ (KAT-7) নামে ৭টি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এসকেএ-এর আদিরূপ স্থাপন করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার কারো মরুভূমিতে ।
ছবিতে SKA-এর কিছু মডেলঃ
শুভ জন্মদিন।
ধন্যবাদ ভাই 😛 আমার জন্মদিন কিভাবে জানেন ?
হা হা হা…… ভুল তো হয় নাই!
চমৎকার
ব্লগটা ঘুরলাম অসাধারন লাগলো, সামহোয়ারইন এ আপনার নিয়মিত বিচরন আশা করছি। 🙂
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 🙂 দোয়া করবেন যাতে আরো ভালো পোস্ট দিতে পারি 🙂
jose news,
khob valo
]
🙂
ভাল লাগলো
ধন্যবাদ 🙂
Pingback: SKA: মহাবিশ্বকে চিনাবে নতুন করে » সদালাপ
আরিসসালা 😀
😀 😀
বাহ…জোসস তো 😀
ওকে । তাইলে আমাগো একটা ট্যুর ওইখানে করুম নে 😀
ভাই, আমারে লইবেন নি???
আমরা তো রিক্সা লইয়া যামু ভাবতেসি 😛 😛
হ তাইলে পাসপোর্ট ভিসা রেডি করো 😛
আইচ্ছা 😀 😀
“স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে (এসকেএ)” এই প্রজেক্টটির সফলতা কামনা করছি।
২০২১ সালে আমরাও বানামু 😀